সরকারী নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একাধিক হিমঘরে আলুতে মেশানো হচ্ছে এলা মাটি , ইট গুঁড়ো

4th June 2020 বর্ধমান
সরকারী নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একাধিক হিমঘরে আলুতে মেশানো হচ্ছে এলা মাটি , ইট গুঁড়ো


পার্থ ব‍্যানার্জী ( জামালপুর ) :  সরকারী নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক হিমঘরে আলুতে মেশানো হচ্ছে রং । এলা মাটির পাশাপাশি ইট গুঁড়িও মেশানো হচ্ছে বাজারজাত করার জন‍্য । ইতিপূর্বে কৃষি বিপণন দপ্তরের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে । এমনকি বিভাগীয় দপ্তরের আধিকারিক সহ স্বয়ং মন্ত্রী তিনিও সরেজমিনে তদন্তে নেমে আলুতে রং মেশানোর কাজ যে চলছে তা ধরে ফেলেন । পাশাপাশি সতর্ক ও করা হয় । রাজ‍্য সরকারের পক্ষ থেকে আলু ব‍্যবসায়ী সমিতিগুলোকে বলে দেওয়া হয়েছে কোনভাবেই আলুতে রং মেশানো চলবে না । তবুও পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বিভিন্ন হিমঘরে শেডের মধ‍্যে আলু ফেলে রং মেশানোর কাজ চলছে ‌ । মুটিয়াদের বক্তব‍্য , ব‍্যবসায়ীরা বলেছেন বলেই রং মেশানো হচ্ছে । জামালপুরের এক আলু ব‍্যবসায়ীর বক্তব‍্য , আলু দেখতে ভালো না হলে কলকাতার বাজারে বিক্রি হয় না । পাইকারী যেখানে আলু সরবরাহ করা হয় সেখানে আলু চকচকে না হলে বিক্রি হয় না । বাজারজাত করার জন‍্য ই মেশাতে হচ্ছে রং । ইতিমধ‍্যেই এই রং মেশানোর প্রবণতার বিরুদ্ধে ফের সরব হয়েছেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি র আওতাধীন স্টোর ইউনিয়ন । সংগঠনের নেতা সেখ মইনুদ্দিন জানিয়েছেন , এ বিষয়ে তারা ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সহ কৃষি দপ্তরেও অভিযোগ করেছেন । জেলাশাসকের দরবারেও জানানো হয়েছে । পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বেশ কিছু হিমঘরে চলছে আলুতে রং মেশানোর কাজ বলে তিনি জানিয়েছেন । অবিলম্বে এই কাজ বন্ধ করতে হবে বলে দাবী তাঁর । আলুতে বেআইনীভাবে যে রং মেশানো হচ্ছে সে বিষয়ে জামালপুর ব্লক কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জীবুল ইসলাম জানিয়েছেন , এ বিষয়ে ইতিমধ‍্যেই অভিযোগ জমা পড়েছে । তা উচ্চ কতৃপক্ষের কাছে পাঠানোও হয়েছে । এলা মাটি বা ইট গুঁড়ি সরকার নিষিদ্ধ করেছে । তবুও যারা এখনো এই কাজ করছেন যার বেশ কিছু অভিযোগ স্টোর ইউনিয়ন জানিয়েছে তা উচ্চ কতৃপক্ষের নির্দেশ এলেই ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে । এ বিষয়ে কৃষি বিপণন দপ্তরের এক আধিকারিক স্পষ্টত ই জানিয়েছেন , এলা মাটি বা ইট গুড়ি যাই মেশানো হোক তা সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ । আলু তে কোন কিছুই মেশানো চলবে না । এবিষয়ে সম্প্রতি সমস্ত হিমঘর অ্যাসোসিয়েশন এবং বর্ধমান জেলা প্রগতিশীল আলু ব‍্যবসায়ীকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । এই কাজ একদম বেআইনী ও নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছেন তিনি । এরপর আদৌ এই আলুতে রং মেশানো বন্ধ হয় কিনা সেটাই দেখার ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।